খাগড়াছড়িতে পর্যটকবাহী বাস উল্টে ৩০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের আলুটিলার সাপমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহারের কারণেই ওই শিক্ষার্থীদের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পর পরই আহতদের খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ও দুজনকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মুহাম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ৫৪ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল নজরুল ট্রাভেলসের (গাড়ি নং-ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৪৫৯) একটি বাস। বাসটি মাটিরাঙ্গার আলুটিলার সাপমারা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে পাহাডে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বাসে থাকা অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গাড়িতে থাকা পর্যটক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাদী বলেন, ছুটি ট্যুরিজমের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আমরা ৫৪ জন সাজেক ভ্রমণে এসেছিলাম।
সোমবার রাতে সাজেকে রাতযাপন শেষে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে মঙ্গলবার রাতে আমরা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম। আমাদের বহনকারী বাসটি খাগড়াছড়ি শহর থেকে ছেড়ে কিছুদূর আসার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহারের কারণেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। আহতদের সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিমুল কর জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম