খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের নেতারা বলেছেন, তথাকথিত গণকমিশনের নামে জনবিচ্ছিন্ন কিছু মানুষের প্রকাশিত শ্বেতপত্রের মাধ্যমে ওলামায়ে কেরামকে বিভিন্ন অসৌজন্যমূলক শব্দ ব্যবহার করে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আলেম-ওলামা ও কওমী মাদ্রাসার সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে। এতে ওলামায়ে কেরামকে জনবিচ্ছিন্ন করার হীন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় সকল বিশৃঙ্খল ঘটনার দায়ভার তাদের প্রতি চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ হলি আর্টিজান হত্যাকাণ্ডসহ এ জাতীয় ঘটনার সাথে আলেম-ওলামাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এসব ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীরা কেউ মাদ্রাসার ছাত্রও নয়। তথাকথিত গণকমিশন স্বেতপত্রের মাধ্যমে শুধু আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেশে বিরাজমান স্থিতিশীল পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে। অসংখ্য-অগণিত ধর্মপ্রাণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। জাতির সামনে অসংখ্য মিথ্যা, অবাস্তব ও প্রতারণামূলক তথ্য উপস্থাপন করেছে।
সোমবার (২৩ মে) বেলা ১১টায় জেলা ইমাম পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এই শ্বেতপত্রের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদেরকে নিকৃষ্ট বলে প্রমাণ করেছে। শ্বেতপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ না করায় তাদের লুকোচুরির প্রমাণ মিলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শ্বেতপত্র প্রকাশকারী গণকমিশনের হোতাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত শাস্তির ব্যবস্থার জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে আগামী ২৬ মে বিকাল ৩ টায় নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, ইমাম পরিষদের নেতা মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মাওলানা আনোয়ারুল আজম, মুফতি গোলামুর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মোল্লা মেরাজুল হক, মাওলানা আব্দুল্লাহ যোবায়ের, আনোয়ারুল আজম, মাওলানা কারামত আলী, মাওলানা হেকমত আলী, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মাওলানা আব্বাস আলী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা ওজিহুরপুর রহমান, মাওলানা আ স ম আব্দুর রহিম ও মাওলানা শহিদুল ইসলাম।