চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশে সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কোনো আদেশ দেয়া হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। খবর বিবিসির।
গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তবে ওই দিনই সংসদে তার আইন জারির আদেশ বাতিল করে প্রস্তাব পাস করেন সংসদ সদস্যরা। এমপিদের বিরোধিতা ও জনরোষের মুখে কয়েক ঘণ্টা পরই সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। এখন এই কারণে অভিশংসনের মুখে পড়ছেন তিনি।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সংক্ষিপ্ত টিভি ভাষণে ইউন বলেন, আমি খুবই দুঃখিত। সামরিক আইন জারির কারণে যারা ব্যথিত হয়েছেন তাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
প্রেসিডেন্টের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং-হুন সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউনের পক্ষে তার স্বাভাবিক দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব নয়। তার প্রাথমিক পদত্যাগ অনিবার্য।
সামরিক আইন জারির পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইউন নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলেই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার কাজ তিনি তার শাসক দলের কাছে অর্পণ করবেন। এ ছাড়া অভিশংসনের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
শনিবার সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব তুলবে বিরোধীদল। পাস করার জন্য ৩০০ আসনের সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে। সংসদ বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও অভিশংসন প্রস্তাব পাস করাতে ইউনের দলের অন্তত আটজন এমপির ভোট লাগবে।
খুলনা গেজেট/এনএম