ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া অঞ্চলের একটি গোলাবারুদের গুদামে আজ মঙ্গলবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, নাশকতা সৃষ্টিকারীরা এ হামলা চালিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
ক্রিমিয়ার উত্তরাঞ্চলে দেজানকোই শহরের কাছে এই গুদামে বিস্ফোরণের পর নিকটবর্তী বিভিন্ন অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে। তিন হাজারের বেশি মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছিল, যেটিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইউক্রেনের সরকার এই দুটি হামলার কোনোটিরই দায় স্বীকার করেনি।
আজ মঙ্গলবার ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার অস্ত্রগুদামে একের পর এক যেসব বিস্ফোরণ ঘটে, সেগুলোর শব্দ অনেক দূর থেকে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে শুরুতে রাশিয়ার সরকার অগ্নিকাণ্ডে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা এজন্যে নাশকতাকারীদের দায়ী করছে।
ক্রিমিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার সরকারের মদদপুষ্ট প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি সার্গেই আক্সিওনোভ আজকের বিস্ফোরণে দুজন আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হামলাস্থলের নিকটবর্তী রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারণ নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।
এর আগের ঘটনায় গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বিকেলে ক্রিমিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের নভোফেদোরিভকা এলাকার নিকটবর্তী সাকি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা অন্তত ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক গত সপ্তাহের হামলার জন্য কিয়েভ দায়ী নয় বলে জানিয়েছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই হামলার পরে রাতে ভিডিওবার্তায় ক্রিমিয়া নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু, হামলা সম্পর্কে সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি তখন বলেন, ‘ক্রিমিয়া ইউক্রেনের এবং আমরা এটি কোনোদিনই ছেড়ে দেব না।’
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। ক্রিমিয়ায় বিপুল সংখ্যক রুশ পর্যটক এসে থাকেন।
খুলনা গেজেট/এমএম