আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই পবিত্র দিনে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজছেন মুসলমানরা। ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা ।
এ আনন্দে অন্য সবার মতোই শরিক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররাও। তাদের বেশিরভাগই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে। তবে করোনা ও সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতি তাদের আনন্দ কিছুটা হলেও কমিয়েছে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ঈদ করতে গিয়েছেন নড়াইলে। পরিবার নিয়ে সেখানেই ঈদ করবেন মাশরাফি। ডানহাতি পেসার, তার স্ত্রী ও ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তিনজনই এখন সুস্থ আছেন। তিনদিন আগে নড়াইল পৌঁছান মাশরাফি। নড়াইল-২ আসনের সাংসদ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
তামিম ইকবাল চিকিৎসা করাতে লন্ডন গিয়েছেন। গতকাল সেখানেই ঈদ পালন করেছেন। গতকাল লন্ডনে ডাক্তার দেখিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার চিকিৎসা শুরু হবে।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসান রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সাকিবের এবারের ঈদও হবে মার্কিন মুল্লুকে। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রয়েছেন ঢাকায়। বগুড়ায় মুশফিকের বাড়িতে দুইটি গরু কেনা হয়েছে। সেখানেই হবে কুরবানি। করোনার কারণে বগুড়ায় যাওয়া হচ্ছে না মুশফিকের। মাহমুদউল্লাহও ঢাকায় ঈদ করবেন।
জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন রয়েছেন বাগেরহাটে। লকডাউন শিথীল হওয়ার পর বাড়িতে চলে আসেন রুবেল। পরিবার নিয়ে সেখানেই ঈদ করছেন এ ক্রিকেটার।
মিরপুরে নিজের ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে বগুড়ায় চলে আসেন শফিউল। গত মার্চে বাবাকে হারানো শফিউল এবার প্রথমবার ঈদুল আজহা করবেন বাবাকে ছাড়া। ডানহাতি পেসার বলেন,‘কয়েকদিন আগে বগুড়া এসেছি। ঈদটা করে ফের অনুশীলনে ফিরবো। আপাতত এই কটাদিন পরিবারের সঙ্গে একান্তে কাটাতে চাই।’
জাতীয় দলের পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দীন ও স্পিনার তাইজুল রয়েছেন নিজ নিজ বাড়িতে। দীর্ঘদিন ফেনীতে থাকায় ঈদের আমেজ পাচ্ছেন না সাইফউদ্দীন। তিনি বলেন,‘আগে ঈদের দুই বা তিনদিন আগে বাড়িতে আসতাম। তখন খুব হই-হুল্লোড় হতো। গত পাঁচ মাস আমি এখানেই। তাই আগের আমেজ পাচ্ছি না। তবে পরিবারের সাথে আছি এজন্য ভালো লাগছে।’
তাইজুল ঢাকা থেকে নাটোর গিয়েছেন চারদিন হলো। নিজে হাটে গিয়ে কোরবানির পশু কিনেছেন। ঈদ কাটিয়ে দুই তিনদিনের ভেতরেই ঢাকায় ফেরার পরিকল্পনা তার। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ঢাকায়, মেহেদী হাসান মিরাজ খুলনায়, সাব্বির রহমান রাজশাহীতে ঈদ পালন করবেন।
যুব দলের সাবেক অধিনায়ক আকবর আলী রয়েছেন রংপুরে। সেখানেই ঈদ পালন করবেন। করোনাভাইরাসের কারণে ঈদুল ফিতর ছিল একেবারেই ভিন্ন। ঈদগাহে গিয়ে নামাজ পড়া, কোলাকুলি করা; এসব করার সুযোগ ছিল না। এবারের ঈদেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আকুতি ক্রিকেটারদের।
খুলনা গেজেট/এএমআর