খুলনা জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও খুলনা তরুণ একাডেমির কোচ কাজী রিয়াজুল ইসলাম কাজলকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ পাঁচজনকে আসামি করে যশোর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা, মামলা হলে অগ্রগতিসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিহতের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, নিহতের স্ত্রী যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার ফুলতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের মেয়ে আফরিনা আক্তার সুমি, শ্বশুর আমজাদ হোসেন, শাশুড়ি মায়া বেগম, বারান্দীপাড়ার মজিদ ড্রাইভারের মেয়ে মণি বেগম ও খুলনার খালিশপুর হালদারপাড়া ১ নম্বর নেভি গেটের কানা সামসুরের ছেলে জাহিদুল ইসলাম সবুজ।
বাদীর অভিযোগে জানা যায়, কাজলের সঙ্গে সাড়ে ছয় বছর আগে আফরিনা আক্তার সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাঝে মধ্যে সুমি খুলনায় কাজলের বাড়িতে যেতেন তবে তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এরমধ্যে তাদের একটা কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সুমির সঙ্গে আসামি সবুজের দুই বছর আগে পরিচয় হয়। এরপর সবুজের মদদে কাজল ও তার স্ত্রী আলাদাভাবে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। বয়রায় কাজলের একটা খেলাধুলা সামগ্রী বিক্রয়কেন্দ্র আছে। কাজল মাঝে মধ্যে খেলাধুলার জন্য বাইরে থাকায় ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছিল সুমি ও সবুজের। বিষয়টি কাজলের মা জানতে পেরে প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর চলতি বছরের ২৬ মে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যশোরে শ্বশুর বাড়িতে এনে কাজলের বিভিন্ন লেনদেন সম্পর্কে আলোচনা করেন। কাজলের কাছে ৫০ লাখ টাকা আছে মর্মে আসামিরা জানতে পারে। ২৮ মে ভোর ৪টায় অপরিচিত মোবাইল ফোনে বাদীকে জানানো হয়, কাজল সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। পরে আসামিরা সবাই বাদীকে জানায়, তারা থানায় আছে। কাজলের মা যশোরের উদ্দেশে রওয়ানা হতে চাইলে আসামিরা জানায়, কাজল ব্রেন স্টোক করে মারা গেছে। কাজলের মরদেহ নিয়ে তারা খুলনার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। এরপর খুলনায় গিয়ে আসামিরা জানায়, কাজল করোনায় মারা গেছে। পরে কাজলের দাফন সম্পন্ন করা হয়। কাজলের মৃত্যুর ব্যাপারে তার মায়ের সন্দেহ হওয়ায় তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন পরিকল্পিতভাবে আসামিরা কাজলকে হত্যা করেছে। কিছুটা সাক্ষীপ্রমাণ জোগাড় করে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট /এমএম