মাশরাফি বিন মুর্তজার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ ও ওয়ানডের বাংলাদেশকে নিয়ে কোচদের ভবিষ্যৎ ভাবনা, সব কিছু নিয়েই মাশরাফির সঙ্গে খোলামেলা কথা বলবেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশের পরের ওয়ানডের আগেই এই আলোচনা হবে বলে জানালেন কোচ।
বাংলাদেশের কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর ১৩ মাসের দায়িত্বে একটিই কেবল ওয়ানডে সিরিজ হয়েছে। গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই সিরিজ দিয়েই নেতৃত্বকে বিদায় জানান মাশরাফি।
গত বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপে দলের ও নিজের ব্যর্থতার পর থেকেই মাশরাফির ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। নেতৃত্ব ছাড়ার পর সেই আলোচনা উচ্চকিত হয়েছে আরও। ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে দল গোছাতে চান ডমিঙ্গো। তার সেই পরিকল্পনায় ৩৭ বছর বয়সী মাশরাফির জায়গা কতটা হবে, বা আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন-কৌতূহল। সংবাদ মাধ্যমে এসব কথা জানান বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
“ মাশরাফির সঙ্গে অবশ্যই আমাদের বসতে হবে, কথা বলতে হবে। কথা বললে পরস্পরের মনোভাব আমরা জানতে পারব। তার সঙ্গে কথা না বলে আমি কিছু বলতে চাই না। কারণ সে দলের সাবেক অধিনায়ক, সফলতম অধিনায়ক এবং দলকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেই সম্মান তার প্রতি আমাদের দেখাতে হবে। আলোচনা যেটিই হোক, খুব আন্তরিকভাবেই হবে।”
“ তার ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত সে অবশ্যই নিতে পারে এবং দলে জায়গা পাওয়ার বিবেচনায় নিজেকে রাখতে পারে। তবে আমারও তার সঙ্গে বসতে হবে, দল নিয়ে আমার ভবিষ্যৎ ভাবনা ব্যাখ্যা করতে হবে, তার কথাও শুনতে হবে। তার পর দেখা যাবে। আশা করি, আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে বা পরের ওয়ানডে খেলার আগেই তার সঙ্গে কথা বলব।”
অবসরের প্রশ্নে মাশরাফি বারবারই বলেছেন, খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে নিজের দাবি জানানোর চেষ্টা করবেন। জাতীয় দলে সুযোগ না পেলে খেলে যাবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করলেও কি মাশরাফিকে আর দশজন পেসারের মতোই বিবেচনা করা হবে? নাকি অভিজ্ঞতা তার পক্ষে যাবে কিংবা বয়স যাবে বিপক্ষে? এসব প্রশ্নে ডমিঙ্গোর কৌশলি উত্তরে কিছুটা মিশে থাকল তার ভাবনা।
“ নির্বাচক তো শুধু আমিই নই, অন্য নির্বাচকদের সঙ্গে বসতে হবে আমার। আমি একাই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। একটা ব্যাপার হলো, অনেক তরুণ পেসার উঠে আসছে এবং কোচ হিসেবে আমি চাইব তাদের ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে। তাই যেটা বলছিলাম, মাশরাফি-বোর্ড-নির্বাচক, সব পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে সবকিছু।”
জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। সফরটি হলে ওই সিরিজের আগেই মাশরাফির সঙ্গে বসতে হবে ডমিঙ্গোকে। কোভিড পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ না হলে বাংলাদেশের পরবর্তী ওয়ানডে মার্চে, নিউ জিল্যান্ড সফরে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরের ধকল এখনও সামলে উঠতে না পেরে মাশরাফি খেলছেন না আগামী সপ্তাহের অনুশীলনী ওয়ানডে সিরিজে। তবে এরপর পরিকল্পিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার লক্ষ্য ঠিক করেছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এএমআর