২০১৩ সালে বোন ম্যারো ক্যানসার ধরা পড়েছিল ভারতীয় ও কানাডীয় অভিনেত্রী, লেখিকা, সমাজসেবী, মডেল লিসা রানির রায়ের শরীরে। অনেক লড়াইয়ের পর সেখান থেকে ফিরে আসেন ‘ওয়াটার’ খ্যাত বাঙালি এই অভিনেত্রী।
সোমবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিবসে নিজের লড়াইয়ের সেই গল্প অনুপ্রেরণা হিসাবে ইন্সট্রাগ্রাম হ্যান্ডেলে ভাগ করে নিয়েছিলেন ‘হিউম্যান্স অব বোম্বে’। শুধু ক্যানসার যোদ্ধারা নন, অন্যরাও চোখ ভিজিয়ে পড়লেন লিসার জীবনের সেই অধ্যায়।
লিজা জানান, ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন কাজ হারান তিনি। ট্র্যাভেল চ্যানেলের চাকরি আর মাথাভরা চুল একসঙ্গেই চলে যায় তার জীবন থেকে। কেমোথেরাপির পর কিছু দিন পরচুলা পরতেন। কিন্তু নিজেকে দেখে নিজেরই হাসি পেতো। তাই টাক মাথায় ঘুরতেন। তা নিয়ে শিরোনামেও এসেছিলেন অভিনেত্রী। তবু লড়াইটা চালিয়ে যান।
একটি ভ্রমণের শো’তে সেই চুল নিয়ে যাওয়ার পরই তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান লিসা। লম্বা চুলের নারী চেয়েছিল সেই সংস্থা। লিসা জানান, জীবন তার প্রতি এতটাই নির্মম হয়েছে। তবু টিকে গিয়েছেন।
সেরে ওঠার ৩ বছর পর ভিতর থেকে সেরে উঠতে পেরেছেন লিসা। গত ৯ বছরে এত কিছু ঘটে গিয়েছে জীবনে যে তার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। কিন্তু সাহসটা ১০০ গুণ হয়ে গিয়েছে। বই লিখেছেন, বাচ্চা মানুষ করেছেন, ক্যানসার সচেতনতাও গড়ে তুলেছেন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞাপনের মডেলের পাশাপাশি লিসা জনপ্রিয় হন টিভি শোর সঞ্চালিকা হিসেবে। বেশ কিছু সিনেমার অফার ফিরিয়ে ২০০১ সালে তিনি প্রথম হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেন। আফতাব শিবদাসানির বিপরীতে করা সেই সিনেমার নাম ‘কসুর’।
ক্যানসার জয় করে লিসা ফিরে এসেছেন বলিউডেও। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘ইশক ফরএভার’ সিনেমাটি। এরপর গত কয়েক বছরে কাজ করেছেন ‘বীরাপ্পন’, ‘দোবারা’ এবং ‘৯৯ সংগস’ সিনেমায়। ২০১৯ সালে সারোগেসির মাধ্যমে দুই সন্তানের মা হন লিসা। বাচ্চাদের নাম রেখেছেন ‘সুফি’ এবং ‘সোলেইল’।
খুলনা গেজেট/ টি আই