রান্নাঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে রসুন। সেই সঙ্গে এর পাতাও সমান উপকারী। রসুনের পাতা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রসুন খেলে প্রায় ৯% পর্যন্ত খারাপ কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব।
রসুনের পাতায় থাকা অ্যালিসিন উপাদান খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক চর্বি বের করে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
গ্রিস, মিশর, ভারতসহ অনেক দেশে এটি প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর সালফার যৌগ রক্তনালী পরিষ্কার করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
কিভাবে খাবেন রসুনের পাতা, তা নিয়ে অনেকেই ভাবছেন। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে এবার রসুনের পাতাকে চাটনি করে খেতে পারেন। কিভাবে তৈরি করবেন এই চাটনি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রসুনের পাতা দিয়ে চাটনি তৈরির উপকরণ
# রসুনের পাতা
# ৪-৫টি কাঁচা মরিচ
# ১ চা চামচ জিরা
# ১ চা চামচ সরিষা
# ২-৩টি শুকনো লাল মরিচ
# ২ টেবিল চামচ তেল
# সামান্য আদা
চাটনি তৈরির পদ্ধতি
প্রথমে রসুনের পাতা ধুয়ে কাঁচা মরিচ ও আদার সঙ্গে মিক্সারে পিষে নিন। এরপর একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে জিরা, সরিষা ও শুকনো মরিচ ফোড়ন দিন।
এরপর তৈরি করা রসুনের পাতা বাটা দিয়ে মৃদু আঁচে কয়েক মিনিট রান্না করুন। চাটনি থেকে সুন্দর সুগন্ধ বের হলে নামিয়ে নিন। গরম ভাত বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন।
চাটনির অন্যান্য উপকারিতা
ইমিউনিটি বাড়ায়– রসুনের পাতায় থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
ব্লাড সার্কুলেশন ঠিক রাখে– এতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা শরীরে আয়রনের শোষণ বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
শরীর ডিটক্স করতে সাহায্য করে– রসুনের পাতা প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে, লিভার ও কিডনি পরিষ্কার করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়– নিয়মিত রসুনের পাতা খেলে সর্দি-কাশি দ্রুত কমে এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর হয়।
ত্বক উজ্জ্বল করে– এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে গ্লোইং ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
যেভাবে খাবেন
ভাত বা রুটির সঙ্গে চাটনি হিসেবে খান। সকালে খালি পেটে রসুনের পাতা চিবিয়ে খেলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। উত্তপ্ত পানি দিয়ে রসুনের পাতা ফুটিয়ে সেই পানি পান করলেও উপকার পাওয়া যায়।
এই সহজ চাটনি নিয়মিত খেলে ধমনীতে জমে থাকা কোলেস্টেরল কমবে, হার্ট থাকবে সুস্থ, আর শরীর হবে আরো শক্তিশালী!
প্রতিবেদনটিতে দেওয়া তথ্য ও পরামর্শগুলো বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য ও ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো কিছু ব্যবহার না করাই ভালো।
সূত্র : নিউজ ১৮
খুলনা গেজেট/এএজে