পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাত, গরুর লাথি এবং মাংস কাটতে গিয়ে ৩০০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক ) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সুবর্ণ রায় বলেন, পশু কোরবানি করতে গিয়ে অসাবধনতাবশত আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে অন্তত ১৫০ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ ব্যক্তির হাতের আঙুল কেটে গেছে।
ব্যবসায়ী জহির মিয়া পরিবার নিয়ে বসবাস করেন পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে। গরু কোরবানি দেওয়ার সময় তাঁর ডান হাতের আঙুল কেটে গেছে। পরে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। ভুক্তভোগী জহির মিয়া বলেন, কোরবানি দেওয়ার সময় হঠাৎ করে তার আঙুল কেটে গেছে।
ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ১৫০ জন। নিটোরের পরিচালকের একান্ত সহকারী মো. জয়নুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পশু কোরবানি করতে আহত অন্তত ১৫০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজারের রামুতে কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে গরুর লাথিতে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার দিন রামু উপজেলা ঈদগড় ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের কোদালিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসী আব্দুল কাদির (৪৫) ওই এলাকার মৃত রামাদান করিমের ছেলে। তিনি সৌদি প্রবাসী ছিলেন।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো জানান, ঈদের জামাত শেষে গ্রামে গরু জবাই করার সময় হঠাৎ গরুটি আব্দুল কাদিরে বুকে লাথি মারে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। আাত্মীয়রা তাকে দ্রুত ঈদগড় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনা গেজেট/এইচ