স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন সাংবাদিক নিহত হওয়ার পর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে ক্ষমতাসীন দলটির সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।” পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো কার্যক্রম করা যাবে না বলে জানান তিনি।
“এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও কেউ কোনো ধরনের রাজনৈতিক উসকানিমূলক পোস্ট বা বক্তব্য দিতে পারবে না,” বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম। গেল মাসে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় দফায় পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরও ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দেন তিনি, যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে গত শুক্রবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে কাদের মির্জা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। সে সময় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।