‘কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধাভোগী যদি গণতন্ত্রের বিপক্ষে গিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করে সেটি সুখকর নয়’ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি, ত্যাগ স্বীকার করেনি। আর কোনো মহামানব গণতন্ত্রের সমাধান দেবে। তার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।’
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। আমাদের সঙ্গে যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য। পাশাপাশি সংস্কারের যেসব বিষয় বলা হয়, যেখানে ঐকমত্য হবে, সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ বলতে কারা? এখন জনগণ বলতে যদি কোনো এক বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধাভোগী, যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে অথবা কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধাভোগীদের মুখোমুখি করছে। এটা তো কারো না বোঝার কারণ নেই। সুতরাং ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটাধিকারে নির্বাচিত হবে।
তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে, সেটা যে সরকারই হোক। কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি, ত্যাগ স্বীকার করেনি। আর কোনো মহামানব দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে, তার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।’
খুলনা গেজেট/ টিএ