খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুড়িগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা নিহত

সাড়ে দশ কোটি টাকা আত্মসাতে ১৬ পুলিশসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গেজেট ডেস্ক

ভুয়া ভাউচারে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৬ আগস্ট) যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় পুলিশের চার এসআইসহ ১৬ সদস্য, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের ৮ জন, সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন, এসআই মো. সবুর আলম খান, যশোর পুলিশ লাইনের এসআই মো. মাহাবুব আলম, মাগুরা পুলিশ লাইনের অবসরপ্রাপ্ত এসআই মো. সাইফুর ইসলাম ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত টিএসআই খান মো. আব্দুল হাই, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এএসআই মো. আতিয়ার রহমান ও শাহ আলম গাজী, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইনের হিসাবরক্ষক মো. শরিফুজ্জামান, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তা জি এম জিল্লুর রহমান, ফিন্যান্স কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও সরকার রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের অডিটর মো. আজমল হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ মিঞা, রথিন বিশ্বাস, মো. ফজলুর শহিদ ও শেখ আব্দুস সালাম, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল গাজী মশিউর রহমান, মো. ফিরোজ হোসেন, শিপন মৃধা, মোছা. তাসলিমা খাতুন,হালিমা, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মো. আকবর আলী, আবুল কাশেম, নড়াইলের বাসিন্দা আজমল মুন্সি ও মাগুরার বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা।

এছাড়া সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মো. ওয়াজেদ আলীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইনস্ট সাপ্লাইজ অ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ না করে ৯ জনের নামে ৮১টি অ্যাকাউন্ট পে চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

পরস্পর যোগসাজশে একই পদ্ধতিতে অস্তিত্ববিহীন ৬টি বিলের মাধ্যমে জেলা পুলিশ মাগুরার ৬ জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আতিয়ার রহমান, শাহ আলম গাজী, খান মো. আব্দুল হাই, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মো. আকবর আলী এবং আবুল কাশেম তাদের জিপিএফের প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এভাবে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।

 

খুলনা গেজেট/এএ




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!