গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এঘটনায় আজ সোমবার (০৫ অক্টোবর) ওই ছাত্রীর পিতা কোটালীপাড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আলী হোসাইন হাওলাদার। তিনি উপজেলার পূর্ণবতী গ্রামের মহাসিন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে এবং ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার সহযোগী বন্ধুর নাম মাসুদ হাওলাদার। তিনি একই গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে।
গত শনিবার উপজেলার ধারাবাশাইল গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদারের মাছের ঘেরপাড়ে একটি টং ঘরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী কোটালীপাড়া উপজেলার স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, গত শনিবার সকাল ৯টায় প্রাইভেট পড়ে স্থানীয় চৌধুরী বাজারে খাতা ও কলম কিনতে যায় সে। এ সময় আলী হোসাইন হাওলাদার ও মাসুদ হাওলাদার তাকে ভয় দেখিয়ে নৌকায় করে ধারাবাসাইল গ্রামে অবস্থিত একটি বিলের মধ্যে নির্জন মাছের ঘেরপাড়ে নিয়ে যায়। পরে ঘেরপাড়ের একটি টং-ঘরে আলী হোসাইন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বলে। এতে ওই স্কুল ছাত্রী রাজি না হওয়ায় আলী হোসাইন তাকে মারধর করে। মারধরের পর আলী হোসাইন হাওলাদার তাকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় তার বন্ধু মাসুদ হাওলাদার মোবাইল ফোনে এ দৃশ্য ধারণ করেন। এই ধর্ষণের কথা কাউকে বললে এবং আগামীতে ডাকার পর না আসলে এই দৃশ্য ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। দুপুর ২টার দিকে সে বাড়িতে আসার পর বিষয়টি তার মাকে বলে।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ ও মারধর করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ জাকারিয়া বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
খুলনা গেজেট/এআইএন