ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মডেল থানা চত্বর। একসময় শুধু ঘাসে ভরা ছিল। এখন সেখানে শোভা যাচ্ছে শীতকালীন সবজি, আছে ফুলের গাছও।
থানা চত্বরের অনাবাদি জমি খণ্ড খণ্ড করে এই সবজি চাষ করছেন পুলিশ সদস্যরাই। সকাল-বিকেলে যার যে সময় অবসর থাকে, সেই পুলিশ সদস্য নিজ হাতে সবজি ক্ষেত পরিচর্যায় নেমে পড়েন।
খণ্ড খণ্ড জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে লালশাক, সবুজশাক, শালগম, আলু, বেগুন, মুলা, ঢেঁড়স, কপি, শিম, লাউ, মিষ্টিকুমড়াসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি।
এ দৃশ্য দেখে থানায় সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদেরও মন ভালো হয়ে যায়। কোটচাঁদপুর শহরের কাজী হায়াত আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটি কাজে আমি থানায় গিয়েছিলাম। থানার আঙিনার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগল।’এরপর নিজেও বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ শুরু করেন বলে জানান জুয়েল।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র বলেন, ‘আমি নিজেই দুটি খাটালে লালশাক, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করেছি। নিজ হাতে পরিচর্যা করা গাছে ফল-ফুল এলে ভীষণ ভালো লাগে। তা ছাড়া কীটনাশকমুক্ত তরতাজা সবজিও পাচ্ছি এখান থেকে।’
থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি কাজে লাগাতে হবে। এ কথায় উদ্বুদ্ধ হয়েই আমরা সবাই থানা চত্বরের পতিত জমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি বা করছি। এতে আমরা যেমন বিষমুক্ত সবজি নিজ হাতে তুলে খেতে পারছি, অন্যদিকে অবসর সময় সবজিক্ষেত পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো সময় কাটছে।’
খুলনা গেজেট/ এসজেড