খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘কেসিসির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে। কেসিসি’র প্রধান উদ্দেশ্য নগরবাসীকে সুষ্ঠুভাবে সেবা দেওয়া।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। কেসিসিকে আরও ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কেসিসি’র সকল বিভাগকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনা হবে। এর ফলে নগরবাসীর সেবা প্রাপ্তি দ্রুত হবে, খরচ কমবে, সময় বাঁচবে এবং কেসিসিও লাভবান হবে।’
মেয়র আজ (রবিবার) সকালে খুলনা নগর ভবন সম্মেলনকক্ষে ইন্টিগ্রেটেড মিউনিসিপ্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (আইএমআইএস) এর উদ্যোগে ভাটাবেজ সংক্রান্ত এক সভায় এসব কথা বলেন। এসএনভি প্রকল্প খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে আইএমআইএস বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
সভায় জানানো হয়, এই ডাটাবেজের মাধ্যমে কার্যত শহর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক যে কোন তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পুর্নব্যবহার করা, নগরীতে কোন কোন বিল্ডিং এর হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি রয়েছে এবং হোল্ডিং প্রদান সাপেক্ষে হালনাগাদ করা হয়েছে তা জানা যাবে। ফলে হোল্ডিং সংক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রম অনেকাংশেই সহজ হবে এবং স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে। এই এ্যাপটির মাধ্যমে পয়:বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কেসিসি’র হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল ও সংযোগ, ড্রেন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদানের তথ্য সিস্টেমে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়াও বিভিন্ন অবকাঠামো যেমন বিল্ডিং সমূহের ঠিকানা, বিল্ডিং এর মালিকের তথ্য, তাঁদের সাথে যোগাযোগের তথ্য, ম্যাপের অবস্থান, সেপটি ট্যাংক, পিট বা অন্যান্য পয়:বর্জ্য সংক্রান্ত অবকাঠামো, রাস্তা বা পানির লাইন এবং ড্রেন এর সাথে সংযোগ ইত্যাদি এই প্রযুক্তির বিভিন্ন ম্যেনু, বাটন নির্বাচন ও পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সরাসরি দেখতে পারবেন। মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে তথ্যাদি জানা যাবে।
সভায় কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, চীফ প্ল্যানিং অফিসার আবির-উল-জব্বার, আইএমআইএস প্রতিনিধি মোঃ ইরফান আহম্মেদ, মোঃ নাজমুল হুদাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/এনএম