খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচনে ফের মেয়র প্রার্থী দিতে চায় চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দলের খুলনা মহানগর শাখা আগামীকাল শুক্রবার গোয়ালখালী ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিনভর সভার আয়োজন করেছে।
২০১৮ সালে মেয়র প্রার্থী দিয়ে ইসলামী আন্দোলন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়।
শাসকদল আওয়ামী লীগ খুলনায় মেয়র প্রার্থী দানের ব্যাপারে একদফা ঘোষণা দিয়েছে। তারপর থেকে মেয়র প্রার্থী স্বল্প পরিষরে কিছুটা তৎপরতাও শুরু করেছেন। এরপর থেকে অন্যান্য দলগুলোও নড়ে বসেছে।
ইসলামী আন্দোলন মূলতঃ কেসিসি নির্বাচনের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে গোয়ালখালী ক্যাডেট মাদ্রাসায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় এক বৈঠকের আয়োজন করেছে। জুম্মার জন্য বিরতির পর বিকেল ৫টা পর্যন্ত সভা চলবে।
নগর শাখার অধিন থানা কমিটিগুলো ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করবেন।
দলের কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও খুলনায় অবস্থানরত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিও এ সভায় দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
দলের সূত্র বলেছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত মাওলানা মুজাম্মিল হক ১৪ হাজার ৩শ ৩৬ ভোট পান। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল তাকে অব্যাহতি দিয়েছে। তিনি এসংগঠনের ব্যানারে নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সংগঠনের নগর শাখার সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন তথ্য দিয়েছেন, মেয়র পদে দু’জনের নাম আলোচনায় এসেছে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়ালের প্রাধান্য বেশি। অপর প্রার্থী হচ্ছেন, নগর শাখার সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ।
গত ২১ মে, বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে ১৮ মে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে ১৫ দফা কর্মসূচীর মধ্যে নির্বাচনে ইভিএম বন্ধ রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। একই সাথে দূর্ণীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবিও তোলা হয়।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনেই ইসলামী আন্দোলন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। ২১ মে, ডাকবাংলাস্থ সোনালী ব্যাংক চত্বরে দলের সমাবেশে উল্লেখযোগ্য প্রস্তুতির পর মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দিতে সাড়া পড়ে।
সূত্র আরো বলেছে, জাতীয় নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাও. আবু সাইদ ও খুলনা-৪ আসনে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. ইউনুস আহম্মেদের নাম চূড়ান্ত হয়েছে।
বিএনপি শিবিরেও এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। আপাতত আলোচনায় দলের মেয়র প্রার্থী নগর শাখার আহবায়ক, কেসিসির সাবেক কাউন্সিলর এস. এম শফিকুল আলম মনা ও নগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা তরিকুল ইসলাম জহির।
দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা গত এক সপ্তাহে খুলনার সভায় স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচনেই তারা অংশ নেবে না। পাশাপাশি ইভিএম এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলেরও দাবি দলের পক্ষ থেকে বার বার তোলা হচ্ছে। দলীয় কর্মীরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।