২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দায়ের করা মামলার শুনানি আজ রোববার ( ৪ মে) অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের আজ আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য করেছিলেন খুলনা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক খুরশীদ আলম।
২০১৮ সালের ১৫ মে কেসিসির চতুর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন। কারচুপির অভিযোগে ফল বর্জন করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১১ জুলাই ফলাফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মঞ্জু। প্রায় ৭ বছর পর ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আসামিদের সমন জারির মধ্য দিয়ে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কেসিসির চতুর্থ পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
২০২৩ সালের ১২ জুন কেসিসির পঞ্চম নির্বাচনেও বিজয়ী হন তালুকদার আবদুল খালেক। গতবছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৯ আগস্ট কেসিসির মেয়র এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মামলায় বিজয়ী হলেও মেয়রের দায়িত্ব পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘ আমার মেয়র হওয়া বড় নয়, আদালতে এই জালিয়াতি প্রমাণিত হোক, জালিয়াতির ফল বাতিল হোক-এটাই মূল চাওয়া। আদালত যদি আমাকে মেয়র ঘোষণা করে মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে।’
মঞ্জুর আইনজীবী গোলাম মাওলা বলেন, ৭ বছর মামলাটি পড়েছিল। মামলার বিবাদী ছিলেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগসহ অন্য ৪ মেয়র প্রার্থী। গত ৮ এপ্রিল বিবাদিদের আদালতে উপস্থিত হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও সমন জারি করেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার নির্ধারিত দিনে কেউ আদালতে উপস্থিত হননি। ৪ মে পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন বিবাদিরা হাজির না হলে আমরা একতরফা শুনানির আবেদন জানাবো।
খুলনা গেজেট/হিমালয়