যশোরের কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক কথিত হাতুড়ি বাহিনীর প্রধান হিসেবে চিহ্নিত খন্দকার আব্দুল আজিজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে পরিবারের দাবি, গত ২৭ জুলাই উপজেলার ব্রাহ্মণকাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক আব্দুল আজিজ উপজেলার ব্রাহ্মণকাটি গ্রামের মৃত খন্দকার রফিকুজ্জামানের ছেলে।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, আব্দুল আজিজ একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান। তার নামে থানায় নয়টি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে কেশবপুর সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আব্দুল আজিজের বড় ভাই কথিত হাতুড়ি বাহিনীর ডেপুটি প্রধান শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার ছোট ভাই আব্দুল আজিজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমার ভাইকে থানাহাজতে আটক রাখা হয়েছে। তাকে দুই দিন থানাহাজতে আটকে রাখা হয়। বুধবার তাকে একটি পেন্ডিং ডাকাতি মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, ২০০৮ সাল থেকে কথিত হাতুড়ি বাহিনী কেশবপুর উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছে। এই বাহিনীর হাতে সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ হামলা ও মারপিটের শিকার হয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের একাংশের অভিযোগ ছিল, সাবেক সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক (বর্তমানে মৃত) এই বাহিনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার আস্কারা পেয়ে এরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মানুষের ওপর নির্বিচারে নির্যাতন-জুলুম চালাতে থাকে। ইসমাতের মৃত্যুর পর দমে যায় হাতুড়ি বাহিনী। বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার উপনির্বাচনের আগে-পরে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেছেন, কেশবপুরে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাশত করবেন না। কুখ্যাত আজিজ আটক তারই ফলাফল হিসেবে দেখছে স্থানীয়রা।
খুলনা গেজেট/এআইএন