যশোরের কেশবপুরে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল কেশবপুর প্রেসক্লাবে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন যে, নৌকা প্রতিকের কর্মী সমর্থকদেও মারমুখি আচরণে তিনি গত তিন দিন ধরে নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারেন নি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে লিখিত আবেদন করেও তিনি কোন প্রতিকার পান নি।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি আরো উল্লেখ করেন প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দীন ও তার কর্মী-সমর্থক মোঃ টিটো, ইমরান হোসেন, রাজু আহমেদ, মাসুম দাই, মতিন সরদার, আসাদ হোসেন, তেীহিদ হোসেন, কামরুল ইসলাম, মিল্টন হোসেন, বিল্লাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা বহিরাগত ১২/১৪ জন সন্ত্রাসীরা আমার নির্বাচন পরিচালনা ও প্রচার কাজে বিভিন্নভাবে বাঁধা সৃষ্টি করাসহ কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি, মারপিট ও হুমকি দিয়ে চলেছে। গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬ টায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দীনের নের্তৃত্বে তার ওই সন্ত্রাসী বাহিনীরা প্রচার মাইক ভাংচুরসহ আমার কর্মী মাসুদুজ্জামান, জাহিদ হাসান মিন্টু ও আবু মুছাকে মারপিট করে। ২২ ডিসেম্বর সহকারি পুলিশ সুপার মনিরামপুর সার্কেল, উপজেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু কোন সুফল পাওয়া যায়নি। গত ২২ ডিসেম্বর বিকেলে অত্র ইউনিয়নের সাতাইশকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে রাস্তার ওপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীরা হাতে ধারালো দা, চাকু, ছোরা, লোহার হাতুড়ি, রডসহ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে প্রচার গাড়ির (ইজিবাইক) গতিরোধ করিয়া আমার কর্মী চালক রাশিদুল ইসলাম, পিতা- আনোয়ার হোসেন মোল্যা, সাং- বেলোকাটিকে মারপিট করে ১ টি মাইক সেট, ২ টি ব্যাটারী ও প্রচারের মেমোরি কার্ড যার মূল্য অনুমান ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি খবর পেয়ে কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ বিষয়ে আমি গত ২৩ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্ণিং অফিসার, থানার ওসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। কিন্তু আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ায় আমার নির্বাচনী সকল কাজ বন্ধ হওয়ার পথে। আর এ সুযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দীন ও তার কর্মী-সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, দাখিল করা অভিযোগের বিষয়ে কোন প্রকার গুরুত্ব না দিয়ে গোপনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দীনকে উৎসাহ দিচ্ছে। সে জন্য আমার প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দীন ও তার কর্মী-সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।