কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের মেম্বর আব্দুল হালিম সানার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অত্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার কেশবপুর প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একই গ্রামের রজব আলী মোড়লের ছেলে গোলাম সরোয়ার এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি পরিবার নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে গোলাম সরোয়ার বলেন, মেম্বর আব্দুল হালিম দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজি করে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ২২ সেপ্টেম্বর মেম্বর হালিম একদল দুর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে আসেন।
বাড়িতে আমার স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ না থাকার সুযোগে মেম্বর আব্দুল হালিম আমার বসত ঘরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আলমারীর ড্রয়ার থেকে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয় এবং বাকি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা না দিলে পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এর আগে সে ২০১৫ সালে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আমার মটর সাইকেল ছিনতাই করে নেয়। পরবর্তীতে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মটরসাইকেলটি ফেরৎ দেয়। এ বিষয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর যশোর আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। যার নং-সি আর -২৩১/২০। মামলা প্রত্যাহার না করলে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে ওই মেম্বরের বিরুদ্ধে ব্রা²নডাঙ্গা গ্রামের নজরুল বিশ্বাসের ২ টি তাল গাছ ও ১ টি আম গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়া, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সময় সরকার প্রদেয় ত্রানের চাল চুরির অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সকল সদস্য ও এলাকার মানুষকে শান্তিতে রাখতে উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী তহমিনা খাতুন, মেয়ে রাজিয়া সুলতানা ঝর্না ও ছেলে ফয়সাল শাহীন । এ বিষয়ে মেম্বর আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছি। স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইন্ধনে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বানোয়াট অভিযোগ করছে। ওইসব ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই ।
খুলনা গেজেট/নাফি