খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কেশবপুরে গত মাসে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৯০

মেহেদী হাসান জাহিদ, কেশবপুর 

কেশবপুরে গত ১৬ মাসে করোনা পজিটিভ রুগী ৬শ’ ৩৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। শুধু জুলাই মাসে উপজেলায় করোনা পজিটিভ রুগী ছিল ২শ’ ৯০ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নয় জনের।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ার পরেও জনগনের নমুনা পরীক্ষার আগ্রহ খুব কম। যার কারণে করোনা পজিটিভ রুগীর সংখ্যাও কমে গেছে। তবে সূত্র জানায়, দেশে করোনা মহামারি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পাড়ার পর হতে গত ১৬ মাসে কেশবপুরে করোনা পজিটিভ রুগী ছিল ৬শ’ ৩৩ জন। এর মধ্যে রুগী সুস্থ্য হয়ে গেছে ৫শ’ ৭০ জন। গত ১৬ মাসে উপজেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে গত জুলাই মাসে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬শ’ ২৬ জনের, করোনা পজিটিভ রুগী ছিল ২৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে নয় জনের।

করোনা মৃত ব্যাক্তিরা হলো, কেশবপুর পৌর সভার সাহাপাড়ার শান্তাহ বিশ্বাস (২৯), বেলকাটি গ্রামের রোজিনা বেগম (৪৫), আওয়ালগাতী গ্রামের নসিমন বেগম (৭০), পাত্রপাড়া গ্রামের আবু হোসাইন সরকার (৭১), ব্রহ্মকাটি গ্রামের আনসার আলী (৫৫), নতুন মূলগ্রামের মাহমুদ উদ্দিন (৫৫), মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল মোমিন মোড়ল (৫৫), মধ্যকুল গ্রামের শহিদুল ইসলাম গাজী (৬০) ও কেশবপুর পৌর সভার সাহাপাড়ার শক্তি অধিকারী (৬৫)।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অধিদপ্তর কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন বলেন, কেশবপুরে টীকা নেওয়ার আগ্রহের হার খুব কম এ পর্যন্ত কেশবপুর উপজেলায় প্রায় ৩ লাখ মানুষের মধ্যে টীকা নেওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছে ২৫ হাজার ২৮ জন এবং টীকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৪ হাজার ৮৬০ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬ হাজার ৩০৫ জন।

এদিকে গতকাল রোববার হাসপাতালে ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও তারমধ্যে করোনা পজিটিভ কোন রুগী ছিল না। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ইউনিটে গতকাল রোববার করোনা পজিটিভ রুগী ভর্তি আছে পাঁচ জন।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন আরো জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার গত মাসের ২৩ তারিখ হতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা দিয়ে জরুরী বিধি নিষেধ জারী করলেও জনসাধারণ বিধি নিষেধ উপেক্ষা করছে। যার কারণে করোনা মহামারি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির যৌথ টহল জোরদার করার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ অদায় করলেও জনগন খুব উদাসীন। বিশেষ করে কেশবপুর পৌরসভার শহরের ব্যবসায়ীরা কোন ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাচ্ছে না যার কারণে মানুষ প্রতিদিন প্রচুর ভীড় করছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলা ব্যাপী জনগনকে টীকা নেওয়ার জন্য সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। যার কারণে মানুষ প্রতিদিন হাসপাতালে টীকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!