বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপনির্বাচন। করোনার ভয় উপেক্ষা করেই সকাল থেকে ৭৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইনে দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্র থেকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করতে দেখা গেলেও মানা হচ্ছে না শারীরিক সুরক্ষা দূরত্ব।
ভোটাররা জানিয়েছেন, নাগরিক দায়িত্ব পালনের জন্য করোনার ভয় উপক্ষো করে সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছেন তারা।
এক নারী ভোটার বললেন, ভোটকেন্দ্রে আসার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেয়া হয়েছে। হাত জীবাণুমুক্ত করে ভোট দিয়েছি। তবে ভোটারদের চাপ থাকায় শারীরিক দূরত্ব ইচ্ছা থাকলেও মানতে পারছি না।
ভোটার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘দিনে কাজ আছে, তাই সকাল সকাল এসেছি। মনে করেছিলাম ভোটার কম থাকবে এবং নিরাপদে ভোট দিয়ে যাবো। কিন্তু ভীড় বেশি হওয়ায় শারীরিক দূরত্ব মানতে পারছি না।’ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল গণি জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার তিন হাজার ১৪১। সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি ভালো। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটাররা আসতে শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করছেন। সকাল ৯টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত্ব, সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মারা যাওয়ায় ২১ জানুয়ারি আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে উপনির্বাচন দেয়া হলে প্রার্থী হন যশোর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, বিএনপি’র আবুল হোসেন আজাদ ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান। তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের তারিখ পুনরায় ঘোষণার পর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানায়।