কেশবপুরে জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্নিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতাকে দল থেকে অবৈধভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির মৃত্যুর পর কোন প্রকার রেজুলেশন ছাড়াই দলের সিনিয়র সহসভাপতি মশিয়ার রহমান পিরো ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে সরকারের করোনাকালিন সহায়তা ও ভিজিএফ কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনোজ তরফদারকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মশিয়ার রহমান পিরো একক স্বাক্ষরে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও উদ্দেশ্যমূলক।
জানা গেছে, সরকারের করোনাকালিন সহায়তা ও ভিজিএফ কার্ড অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের মৌখিক নির্দেশে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মশিয়ার রহমান পিরো, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম সরোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনোজ তরফদার। কিন্তু আব্দুল হালিম ও মনোজ তরফদারকে বাদ দিয়ে মশিয়ার রহমান পিরো ও গাজী গোলাম সরোয়ার এ তালিকা করে মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করলেও তারা তা গ্রহণ করেনি। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুল হালিম ও মনোজ তরফদার গত ৩ মে শহরের প্রাথমিক শিক্ষক মিলতায়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে একটি তালিকা তৈরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মশিয়ার রহমান পিরো গত ৪ মে একক স্বাক্ষরে আব্দুল হালিম ও মনোজ তরফদারকে দল থকে বহিস্কার করে তাদের কাছে চিঠি প্রেরণ করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা বুধবার সকাল থেকে শহর ও ইউনিয়ন এলাকায় দলবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে আব্দুল হালিম জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীরা আমার সাথে রয়েছেন এবং আমি যাতে দলীয় মনোনয়ন চাওয়া বা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি সে কারণেই আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্নিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এক নেতার নির্দেশে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে মশিয়ার রহমান পিরোর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কেশবপুর উপজেলা আওয়াীলীগের সভাপতি এসএম রুহোল আমীন বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মশিয়ার রহমান পিরোর বহিস্কার করার কোন এখতিয়ার নেই। যেটা করেছে তা মনগড়া। এর কোন বৈধতা নেই।
খুলনা গেজেট/কেএম