খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে ভালো কোনো ভালো চিকিৎসক নেই, হাসপাতালে নোংরা পরিবেশ। মালিকের অসহযোগিতার কারণে মডার্ণ হাসপাতালে কোনো শ্রীংখলা হেই। ভুল চিকিৎসায় অনেক রুগীর মৃত্যু হয়েছে। ভুল অপারেশন মৃত্যু পথযাত্রী রুগীকে বাঁচাতে সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে মঙ্গলকোট গ্রমের শরিফুল ইসলাম।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে অবস্থিত বেসরকারি ক্লিনিক “মডার্ণ হাসপাতালটি” প্রতিষ্ঠার শুরুতেই একের পর এক নানামুখী অভিযোগে অভিযুক্ত। মডার্ণ হাসপাতালটি শুরু থেকে বহু অভিযোগে অভিযুক্ত। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার,প্যাথলজিসহ ওয়াডের ভিতর নোংরা পরিবেশ, ভুল অপারেশনে রুগীর মৃত্যুর অভিযোগে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ মর্ডান হাসপাতালটি ছিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবারও কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে হাসপাতালটি চালু করা হয়। এরপরেও বিভিন্ন সময়ে ঐ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা, ভুল অপারেশনের করেন ইতিমধ্যে অনেক রুগীর মৃত্যু হয়েছে। মডান হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, প্যারা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে নিয়মিত ভাবে রুগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়ে থাকে।

উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম কেশবপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে বলে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমের সিজার করার সময়ে তার মুত্রনালী বায়ুসঞ্চালন পথের কয়েকটি রগ কেটে তা গোপন করে রাখে। একসপ্তাহ পর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আব্দুর রব জানান ভুল অপারেশন করে তাকে অনেক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে রুগীর বায়ুপথে তিনটি অপারেশন করতে হবে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে এক মাসের ব্যবধানে তিনটি অপারেশন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ মাস ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা দিতে রুগীর স্বজনদের জমাজমি যাছিলো সব বিক্রি করে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যায় করতে হয়েছে।

অভিযোগে আরো বলেন তার স্ত্রীর অবস্থার বিষয় নিয়ে মডান হাসপাতালের মালিক মো. রবিউল ইসলামকে জানালে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর অপারেশন থিয়েটারের ডাঃ আব্দুস সামাদের নিকটে গিয়ে অভিযোগ করলে ঐ সময়ে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা তার বেয় হয়। তাকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হবে বলে তাড়িয়ে দিয়েছে।

এবিষয়ে কেশবপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন কেশবপুর মডান হাসপাতালের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বহু অভিযোগের কথা শুনেছি এবং অনেক অভিযোগও পেয়েছি। মর্ডান হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!