কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ। মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মনোয়ার হোসেন মিন্টু স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক বিশ্বাস শহিদুজামান।
লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেশবপুর উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আব্দুল আজিজ পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটেশন করে টাকা উত্তোলন ও মাসিক মিটিং না করা, করোনাকালিন বরাদ্দ সঠিকভাবে বন্টন না করা, হাটবাজারসহ অন্যান্য খাতের টাকা অনিয়ম, আর্থিক সাহায্য প্রদানের নামে আত্মসাত, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম, ডিজিটাল স্ক্রীন স্থাপনে অনিয়ম, কিশোর গ্যাং লালন পালন, মেয়রের ঢাকা গমন, পৌরসভায় জনবল নিয়োগ ও টিআর প্রকল্পে অনিয়মসহ ১১টি অভিযোগ এনে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। যা লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আনিত অভিযোগ সমূহ ভূয়া ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, মেয়রকে পিপিআর ২০০৬ ও ২০০৮ এর তফশীল-২ এর ৬৯ (১) এবং ৬ এর ক ও গ অনুযায়ী কোটেশন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তারপরও তিনি নিয়মিতভাবে মাসিক মিটিং করেন এবং মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোটেশনসহ অন্যান্য যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইজিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হয়। এরপর সিপিটিইউ কেন্দ্রীয়ভাবে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বাস শহিদুজ্জামান বলেন, কেশবপুরে কিশোর গ্যাং বলে কিছুই আছে কিনা তিনি জানেন না। মেয়র রফিকুল ইসলামের দায়িত্বকালে পৌরসভায় কোন স্থায়ী জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। যে কারণে খন্দকার আব্দুল আজিজের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার দায়িত্বকালের মধ্যে মাসিক মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে থাকি। এতে আমার কোন নিজস্ব মতামত থাকে না। আমার উন্নয়ন কর্মকান্ড ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাম্বিত হয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে খন্দকার আব্দুল আজিজ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান, জিএম কবীর হোসেন, আফজাল হোসেন বাবু, কামাল খান, আব্দুল হালিম, খাদিজা খাতুন ও আসমা খাতুন।
খুলনা গেজেট/কেএম/ টি আই