মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে মাদক পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। ২ অক্টোবর বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীতে হানা দেয় ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। ৩ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর প্রথমে মুম্বাইয়ের এসপ্ল্যানেড কোর্টে পরে এনডিপিএস আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন আরিয়ানের আইনজীবী।
কিন্তু দুই জায়গায়ই আরিয়ানের জামিনের নামঞ্জুর হয়ে যায়। এবার বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শাহরুখপুত্র। কেন একাধিকবার আবেদন সত্ত্বেও মাদক মামলায় জামিন পাচ্ছেন না আরিয়ান- এই প্রশ্নের উত্তরে নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে।
জানা গেছে, প্রমোদতরীর অভিযানে আরিয়ানের কাছে কোনো মাদক পায়নি এনসিবি। তাহলে কেন তার জামিন হচ্ছে না? ধারণা করা হচ্ছে, এর নেপথ্যে রয়েছে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। শাহরুখপুত্রের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অনেক তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরিয়ান নিয়মিত নিষিদ্ধ মাদক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি চ্যাটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রেরও হদিস পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে এনসিবির আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার শাহরুখ খানের বাড়ি মন্নতে অভিযান চালায় এনসিবি। প্রথমে সবাই মনে করেছিল, তল্লাশি চালানোর উদ্দেশ্যেই এনসিবির অভিযান। কিন্তু পরে জানা যায়, আরিয়ানে ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী সংগ্রহ করতে তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
আরিয়ানের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তার দুই সঙ্গী আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। এনসিবি কর্মকর্তাদের দাবি, তারা দুজন বড় মাদকচক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা পাণ্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনসিবি। সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট।
এর আগে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরেই প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। তারও জামিনের জন্য প্রচুর বেগ পেতে হয়েছিল। বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ান জামিন পাবেন কি না তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
খুলনা গেজেট/ এস আই