প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থেকে দিল্লির আশপাশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থান ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলেও এই কনকনে শীতেও দিল্লিতে লাখ লাখ কৃষক এখন সামিল হয়েছেন। মোট কথা দিল্লির কৃষক আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। তাদের একটিই দাবি জনবিরোধী এই কৃষক আইন বাতিল করতে হবে। শনিবার ছিল ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর চুয়াত্তর তম হত্যা দিবস।
গান্ধীজীর অহিংস পথ অবলম্বন করে সারা ভারতে কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি একদিনের অনশন করেছে। রবিবার থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জেলা সদর গুলিতে এই অনশন চলবে। দিল্লি গাজীপুর সীমানায় অবস্থানরত কৃষক-ক্ষেতমজুররা অহিংস পথে অনির্দিষ্ট দিনের জন্য ধর্ণা অবস্থানে বসেছেন।
সারা ভারত কিষাণ ইউনিয়নের জঙ্গি নেতা রাকেশ রিতায়েত জানান, কৃষক-ক্ষেতমজুর আন্দোলন দুমাসের বেশি সময় ধরে চলছে। কৃষকদের মনোবল ভাঙতে পারেনি সরকার নানান দমনপীড়ন নীতি অবলম্বন করলেও। শনিবার গান্ধীজীর হত্যা দিবসে ভারতের প্রতিটি অনশন অবস্থান করা হয়। এবার প্রতিটি জেলাসদরে হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে বারোবার বৈঠকে কোনো সমাধান সুত্র মিলেনি। আমরা সাময়িক স্থগিত চাই না, জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কৃষক-ক্ষেতমজুর আন্দোলন আরো শক্তিশালী রূপ নেবে। তবে সবটাই শান্তিপূর্ণ পথে।
খুলনা গেজেট/এনএম