খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত
মণিরামপুরে ৫ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে বাম্পার ফলন

কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সোনালি আঁশ

এস এম সিদ্দিক, মণিরামপুর

সময়মত বৃষ্টির পানি পাওয়ায় যশোরের মণিরামপুরে সোনালী আঁশ পাট চাষে বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। পাট কাটার পর তা জাগ দিয়ে আইশ ছাড়ানো এবং শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এবার ৫ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে। পাশাপাশি বাজার মূল্যও সন্তোষজনক থাকায় চাষিরা অনেক খুশি।

জানাযায়, উপজেলার মশ্বিমনগর, ঝাঁপা, শ্যামকুড়, খেদাপাড়া, রোহিতা ইউনিয়নসহ আরো অন্যান্য এলাকায় উল্লেখযোগ্য পাট চাষ করা হয়েছে। তবে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার ভবদহ পূর্বাঞ্চলে কৃষকরা তেমন পাট চাষ করতে পারেনি। যেসব অঞ্চলে পাট চাষ করা হয়েছে শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যায়ে জমি খালি করতে চাষিরা পাট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাটের জমিতে পুনরায় আমন ধান লাগানোর জন্য পাট কেটে পঁচানোসহ আইশ ছাড়ানোর পাশাপাশি তা শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ কাজে বাড়ির গৃহবধূরাও সহযোগীতা করে চলেছেন।

উপজেলার লাউড়ী গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে যে ভাবে পাট চাষ করা হতো, বোরো আবাদের কারণে তাদের এলাকায় এবার তা একটু কমে গেছে। তবে পাটের বাজার মূল্য এবার পূর্বের তুলনায় অনেকটা ভালো আছে। যে কারণে পাট চাষিরা এবার বেশ লাভবান হবে।

খেদাপাড়া গ্রামের মোজাহার আলী সরদার জানান, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বীজ রোপন থেকে শুরু করে পাট ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পাট কেটে ওই জমিতে আবার আমন ধান লাগানো হবে। তবে বৃষ্টির কারনে ছাড়ানো আইশ শুকাতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাট চাষি মোজাহার আলী সরদারের মত একই কথা জানালেন উপজেলার খড়িঞ্চী গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, তুলনামূলক ভাবে এ উপজেলায় এবার পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় পাট চাষ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে। সে তুলনায় এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষে মনোযোগী হয়েছেন চাষিরা। পাশাপাশি সোনালী আঁশ পাটের বাজার মূল্য ভাল হওয়ায় আগামীতে এর চাষ বৃদ্ধি পাবে।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!