রাস্তা অবরোধ ও প্রতিবাদ মিছিল এবং ধর্নায় কৃষক ক্ষেতমজুর আন্দোলনে সমগ্ৰ ভারত কার্যত অচল হয়ে গেল। অবরোধের জেরে সোমবার ভারতের নাম করা জাতীয় সড়ক গুলিতে কোনো যান চলাচল করার সুযোগ পায়নি। এতদিন পর্যন্ত কেবল রাজধানী দিল্লি অবরুদ্ধ থাকলেও এদিন বাণিজ্য নগরী মুম্বাই , কলকাতা , চেন্নাই , বেঙ্গালোর , লক্ষণ , হরিয়ানা , জয়পুর , এই সমস্ত শহর গুলি কৃষক ক্ষেতমুজুরের মিছিলে কার্যত অচল হয়ে যায়। তীব্র যানজটে নিত্য যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। শুধু সড়ক পথেই নয় এদিন কৃষক খেতমুজুররা রেল পথ অবরোধ করে। পূর্ব , দক্ষিণ পূর্ব , মধ্য পূর্ব , পশ্চিম , দক্ষিণ ও উত্তর শাখার রেল পথ কার্যত অচল হয়ে যায়। দিল্লি থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে দূর গামী ট্রেন গুলির যাত্রা পথ বিঘ্নিত হয়।
এদিন কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে জনবিরোধী কৃষি আইনের দাবিতে মিছিল , রাস্তা ও রেল অবরোধ শুরু হয়। কলকাতা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলিতে যান চলাচল হয়নি বললেই চলে । কলকাতার জনবহুল এলাকা পার্কসার্কস চার নম্বর ব্রীজ মোড় এলাকা কার্যত শুনশান হয়ে পড়ে। চার নম্বর ব্রীজ থেকে ২৪টি গণসংঠনের ডাকে এক বিশাল মিছিল দরগা রোড ও চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল হয়ে লেডি ব্রামন কলেজে শেষ হয়। মিছিল শেষে বক্তব্যে বলেন , বন্দি মুক্তি কমিটির ছোটোন দাস , বিশিষ্ট সমাজ কর্মী অসিত বরণ রায়, শিবসঙ্কর দাস, মোবারক হোসেন প্রমুখ। গোটা ভারত জুড়েই মিছিলে প্রধান শ্লোগান ছিল অবিলম্বে কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম