খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল এক লাখ ১ হাজার
  জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬

কুয়েট শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ

গে‌জেট ডেস্ক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩০ নভেম্বর কুয়েট অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর খবরে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতনে শাহ আমানত হলের প্রাধ্যক্ষ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের অপমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী শাহ আমানত হলে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচনকে কেন্দ্র তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালান। তিনি বাসায় ফিরে এ ঘটনা তার পরিবারকে জানান। শিক্ষার্থী নামধারী দুর্বৃত্তদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধই একজন শিক্ষকের নৈতিক শক্তির ভিত্তি। কুয়েটের শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তদের অনৈতিক চাপে মাথানত না করে শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রেখেছেন। আমরা ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।

শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কুয়েট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত কয়েকজনকে সাময়িক বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠনসহ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কুয়েট কর্তৃপক্ষের এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এ ধরনের ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ করতেই হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!