খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসের নান্দনিকতা চোখে পড়ার মতো। ক্যাম্পাসের নান্দনিকতায় আরো রুপ দেওয়ার বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম ফেজে ক্যাম্পাসে প্রবেশের মূল ফটক থেকে ক্যাম্পাসের আভ্যন্তরিন সড়কটি ২৭ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। ২৭ ফুট প্রশস্ত এ সড়কটি ক্যাম্পাসের পুরো পরিবেশকে নান্দনিকতায় প্রস্ফুটিত করেছে। ১০ ইঞ্চি ডিপ আরসিসি ঢালাই দেওয়া নবনির্মিত সড়কটির স্থায়িত্ব ১শ’ বছর হবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা।
৪ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৭২৮ টাকা ব্যয়ে মেসার্স এএসি-এটি (জেভি) (আসিফ আরিফ কনস্ট্রাকশন এবং আকন ট্রেডার্স) যৌথভাবে সড়কটির প্রথম ফেজের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। একই প্রকল্পের আওতায় বাকী ২টি ফেজের কাজ সম্পন্ন হলে পুরো ক্যাম্পাসের নান্দনিকতা আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে খুলনা গেজেটকে জানিয়েছেন ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ জুলফিকার হোসেন।
তিনি বলেন, এ সব পরিকল্পনা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার নাল প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরী করা হয়েছে। প্রথম ফেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ২৭ ফুট প্রশস্ত ৬৪০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পথে। ২য় ফেজে সড়কের উভয় পাশে ১ দশমিক ৫ মিটার ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। ফুটপাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, লেক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পুকুরটির সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ফুটপাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, লেক, পুকুরপাড়, টিএসসি ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবন এবং ছাত্র হলগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হলে পুরো ক্যাম্পাসের নান্দনিকতা আরো বৃদ্ধি পাবে। ফুটপাত হবে ওয়াক ওয়ের আদলে। এর ফলে ফুটপাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সানন্দে হাঁটাচলা করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এই প্রথম এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরিণ সড়কের পাশে বিদ্যুৎ এর পোলের পরিবর্তে মাটির নীচ (আন্ডারগ্রাউন্ড) দিয়ে বিদ্যুৎ এর লাইন সংযোগ দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, তৃতীয় ফেজে ক্যাম্পাসের বাকী সড়ক নির্মাণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক এ প্রতিবেদককে আরো বলেন, কুয়েট ক্যাম্পাসকে সৌন্দর্যময়, দৃষ্টিনন্দন, আকর্ষনীয় এবং নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের উপর আর্চওয়ে ব্রিজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণকৃত ১৬ দশমিক ৩৫২ একর জমিতে আধুনিকতায় পরিপূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরী করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে ভেঙে পুরাতন নাম বহাল রেখে নতুন আঙ্গিকে দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নতুন হল নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই