৯ দিন পর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে আরেকটি মৃত ডলফিন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি সদ্যোমৃত। এ নিয়ে চলতি বছর কুয়াকাটা সৈকতে ছয়টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেল। সৈকতের পূর্বদিকে জাতীয় উদ্যানের পাশে বুধবার সকালে মৃত ডলফিনটি প্রথম দেখতে পান স্থানীয় ট্যুর গাইড মোবারক হোসেন।
তিনি কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটিকে বিষয়টি জানালে তারা একে মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
ওই কমিটির সদস্য কে এম বাচ্চু বলেন, ‘আজকের ডলফিনটি কিছুক্ষণ আগে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ এর শরীরের আবরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ছয় ফুট লম্বা ডলফিনটি দেখে মনে হচ্ছে, সাঁতার কেটে সৈকতে বিশ্রাম নিচ্ছে।’
কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, এই মৃত ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। একে একদম সদ্যোমৃত মনে হচ্ছে। শরীরে আঘাতের চিহ্নটিও তরতাজা। শরীরের তৈলাক্ত আবরণও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
তুষার বলেন, ‘গতকালও একই জায়গায় একটি মৃত কচ্ছপ পাই। আজকে এলো মৃত ডলফিন। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ডলফিনটির লেজে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করছি, আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টির প্রতি নজরদারি করা।’
ইকো ফিশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, ডলফিনটি বয়স্ক না। অল্প বয়সী। এগুলো কেন মারা পড়ছে সে বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে কুয়াকাটা সৈকতে মৃত ডলফিন ও কচ্ছপ ভেসে আসছে। এটি নিয়ে আমরা বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখছি। পোস্টমর্টেমের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
‘এখনও কোনো রিপোর্ট না আসায় এই প্রাণীদের মৃত্যুর কারণ ও মৃত্যু বন্ধ করতে করণীয় সম্পর্কে আমরা কিছুই বলতে পারছি না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সামুদ্রিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় এগুলো মারা যাচ্ছে।’
সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ সকালে কুয়াকাটা সৈকতের পূর্বদিকে জাতীয় উদ্যানের পাশে চার ফুট দৈর্ঘ্যের একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এর শরীরের ওপরের আবরণ অর্ধেকেরও বেশি উঠে গিয়েছিল।
খুলনা গেজেট/ এস আই