কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় সিদ্দিক মণ্ডল (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন সিদ্দিকের তিন ভাই। উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চড়পাড়া গ্রামে আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিদ্দিক মণ্ডল চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সিদ্দিকের আহত তিন ভাই হলেন ইউনুস মণ্ডল, খালেক মণ্ডল ও বাদশা মণ্ডল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে নিহত সিদ্দিকের ভাই বাদশা মণ্ডল পাশের চড়পাড়া মাঠে জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ মালিথা গ্রুপের লোকজন গিয়ে বাদশা মণ্ডলের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁর এক পায়ের রগ কেটে দেয়। খবর পেয়ে বাদশাকে উদ্ধার করতে তাঁর ভাই সিদ্দিক মণ্ডল, খালেক মণ্ডল ও ইউনুস মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষেরা তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধসহ আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সিদ্দিক মণ্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদগ্রাম ইউনিয়নে মণ্ডল গ্রুপ ও মালিথা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জেরেই এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘাতকদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সিদ্দিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমুল ইসলাম ছানা বলেন, ‘চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মণ্ডল ছিলেন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী।’ সিদ্দিকের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার দাবি জানান শামিমুল।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন জানান, এলাকার মণ্ডল গ্রুপ ও মালিথা গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবির পাশাপাশি এ ঘটনার জেরে আর যাতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’
খুলনা গেজেট/এএ