পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের বিপুল মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এ ছাড়া পাশের চিলমারী ইউনিয়নের বেশ কিছু বাড়িতে পানি ঢুকেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়ার ফলে চরাঞ্চলের অন্তত ১৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই সব গ্রামের মানুষ। বেড়েছে তাদের দুর্ভোগ-দুর্দশা।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে পাউবো সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, কয়েক দিন ধরে নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মাচরের ১৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে এসে জানান, চরাঞ্চলের অন্তত ৬০ ভাগ বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে এসব গ্রামের বিপুল মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের দুর্ভোগ-দুর্দশা বেড়েছে।
চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, তাঁর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে।
আকস্মিক বন্যায় চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি বন্যাকবলিত হওয়ার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বন্যার পানি ঢোকার খবর পেয়ে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ একটি টিম উপদ্রুত এলাকায় পাঠিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে অচিরেই রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম