কুমিল্লায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপির অন্তত ১৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জে আবুল কালাম হাইস্কুলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়কে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হন। পরে সংক্ষিপ্তভাবে কর্মসূচি পালিত হয়।
লাকসাম পৌরসভা বিএনপি আহ্বায়ক মিলন বলেন, সকালে লাকসামের মুদাফফরগঞ্জ সড়কের রাস্তার মাথা, খুনতা , নৈইরপাড়, রেলচিতষী, রাজঘাটসহ মুদারফফরগঞ্জ প্রবেশ পথে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বহন করা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারপরও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হন।
পরে সকাল ১০টায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, লাকসাম উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবদুর রহমান বাদল, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ সুলতান খোকন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক সরওয়ার জাহান দোলন ও লাকসাম পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হোসেন মিলন।
এদিকে সকাল ৯টায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পথিমধ্যে বিএনপিকর্মীদের ওপর হামলার কারণে সকাল সোয়া ১১টায় সমাবেশ স্থল পরিদর্শন করেন সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়াসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।
আহতরা হলেন, হাসনাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপন, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন, যুবদলের আনোয়ার হোসেন, মো. হোসেন, আবু বকর, জাহাঙ্গীর, টিপু আহমেদ, শেখ ফরিদ, রনি, শান্ত, সাব্বির ও মন্নাফ। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে লাকসাম ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইয়া বলেন, বিএনপি একটি অভিযোগ পার্টি, তারা শুধু মিথ্যা অভিযোগ দেয়। লাকসামে বিএনপির কোনো অস্তিত্ব নেই। আজ লাকসামে বিএনপির কোনো সমাবেশ হতেই শুনিনি, হামলা তো পরের বিষয়। তারা পত্রিকায় নিউজ হওয়ার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
লাকসাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই, বিএনপির মিটিং শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। হামলা বা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
টি আই