কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পাশাপাশি এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুই গ্রুপের সমাবেশকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত সেলিম ভূঁইয়া উপজেলার হেসাখাল খিলপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
তিনি বিএনপি সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার অনুসারী। সেলিম ভূঁইয়া হত্যার বিচারের দাবিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে গতকাল সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে আব্দুল গফুর ভূঁইয়া গ্রুপ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা সেলিম ভূঁইয়ার হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জানা যায়, গতকাল বিকেলে উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাদশাহ মিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়।
কর্মিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। অন্যদিকে একই সময় পাশের পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার পক্ষে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি এলাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাঙ্গড্ডা বাজারে উভয় গ্রুপ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১১ নেতাকর্মী আহত হন।
তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম ভূঁইয়াকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, ‘রায়কোট ইউনিয়নের বাসণ্ডা গ্রামে আমাদের এক কর্মীর বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুরে দাওয়াত খেতে যাই। বিকেল ৩টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে হামলা চালায় মোবাশ্বেরের লোকজন। আমি পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।’
অন্যদিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আজ কারো হামলার ঘটনাই ঘটেনি।
আমি বিকেল সাড়ে ৪টায় কর্মিসভাস্থলে প্রবেশ করে শান্তিপূর্ণভাবে বক্তব্য দিয়ে সাড়ে ৫টায় স্থান ত্যাগ করি।’
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে একটি দাওয়াতে ছিলাম আমরা। এই ঘটনা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।’
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এইচ