কিরগিজিস্তানের বিরোধীদলের সহিংস ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কুবাতবেক বরোনভ পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বিরোধীরা বিক্ষোভের একপর্যায়ে জাতীয় সংসদ ভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও প্রধান নিরাপত্তা ভবন দখল করে নেয়। একই সাথে নির্বাচন কমিশনকে সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে বাধ্য করে।
এ অবস্থা প্রধানমন্ত্রী কুবাতবেক ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান। তার পদত্যাগের খবর কিরগিজিস্তানের সংসদ প্রেস সার্ভিস সর্বপ্রথম প্রচার করে। খবরে জানানো হয়-সংসদের পক্ষ থেকে বিরোধী রাজনীতিক সাদির ঝাপারভকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এরআগে, রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষেভ শুরু করে বিরোধীরা। তারা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই জিনবেকভ আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বিরোধীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাসবেক আতামবায়েভকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুরোনবাইয়ের সঙ্গে মতদ্বন্দ্বতা সৃষ্টি হলে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
রুশ বার্তাসংস্থা তাসের খবরে পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলে। ওই প্রাসাদ কম্পাউন্ডে দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের সদর দপ্তর অবস্থিত। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের মুখে নিরাপত্তা প্রহরীর অবস্থান ছেড়ে চলে যায়।
এসময় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কম্পাউন্ডে অবস্থিত অন্য কয়েকটি ভবনে বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। আর কিরগিজিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভকে কারাগার থেকে মুক্ত করে বিক্ষোভকারীরা।
কিরগিজিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই জিনবেকভেল সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর তিনি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। এতে গত আগস্ট মাসে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
এদিকে, ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই কোথায় রয়েছেন তা জানা যাচ্ছে না। অবশ্য রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক প্রেসিডেন্ট সুরোনবাইয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাজধানী বিশকেকেই রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন