স্বামীর দুই কিডনি অকেজো হওয়ায় নিজের কিডনি দিয়ে তাকে সুস্থ করেছিলেন ববিতা আক্তার। তাকেই প্রাণ দিতে হলো ছিনতাইকারীর হাতে। ছয় দিন আগে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত হয়ে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ববিতা। সোমবার রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ববিতা আক্তার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার নাদিম মণ্ডলের স্ত্রী। গত ১৫ এপ্রিল আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে চলন্ত রিকশায় ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন তিনি।
নিহতের পরিবারের সূত্র জানায়, ওইদিন সন্ধ্যায় তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাজু মণ্ডল ও তিন বছর বয়সী কন্যা নুসরাতকে নিয়ে বাইপাইলের নিজ বাসা থেকে ফুচকা খেতে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় যান। সেখান থেকে রিকশায় বাসায় ফেরার পথে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকার হাবিব পাম্পের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে ছিনতাইকারীরা এসে ববিতার হাতে থাকা ব্যাগ ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন টেনে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় ছিনতাইকারীদের টানাহেঁচড়ায় ববিতা চলতি রিকশা থেকে মহাসড়কে পড়ে যান। এতে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান এবং সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় ববিতাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি দেখে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিলন ফকির জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর দেবর মো. কাদের হৃদয় বাদী হয়ে থানায় একটি ছিনতাই মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওসমান গনী নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ
