নগরীর রায়েরমহল কাশবন থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তার স্বামীর কোন সন্ধান নেই বলে জানা গেছে।
খুলনা মেট্রোপলিট পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ মো: তাজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ফিঙ্গারিংয়ের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক যে পরিচয়টা পেয়েছিলাম সেটি সঠিক ছিল না। পরবর্তীতে ফিঙ্গারিংয়ের মাধ্যমে তার আসল পরিচয় পাওয়া গেছে। মৃত নারীটি কয়রা উপজেলার মো: বাবুল আক্তারের মেয়ে শামীমা আক্তার।
তিনি বলেন, একই উপজেলার মদিনাবাদ এলাকার আ: রহিম মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমানের সাথে শামীমার বিয়ে হয়। তারা খুলনার রায়েরমহল এলকার ডালিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। শামীমার লাশ উদ্ধারের আগের দিন রাতে তারা একসঙ্গে ঘুরতে বের হয়। পরবর্তীতে তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। শামীমার স্বামী আটক হলে হত্যার রহস্য জানা যাবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। দুপুরে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে বাবুল আক্তারের ছেলে তামীম বলেন, ৫ মাস আগে সাইদুরের সাথে বোন শামীমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১০ দিন তাদের সংসার ভাল ছিল। পরবর্তীতে তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়। বোনের স্বামী সাইদুল নেশাগ্রস্থ ছিল। যেটি তারা বিয়ের পর জানতে পেরেছে। সাইদুর কাজ কর্ম ঠিকমতো করত না। এ নিয়ে প্রায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি হত। তিনি বলেন, দুপুরের পর মরদেহ পুলিশ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে তারা কয়রায় দাফনের জন্য রওনা হয়।
খুলনা গেজেট/এসজেড