ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ৮দিন পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) অপহৃত স্কুলছাত্রীর পিতা ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানাতে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন।
উপজেলার চাপালী গ্রামের খায়রুল ইসলাম অপহৃত ছাত্রীর পিতা থানাতে দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ আগষ্ট সকালে তার কন্যা সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়া খাতুন উপবৃত্তির টাকা আনতে বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু সন্ধা রাত পেরিয়ে গেলেও তার কন্যা বাড়ীতে না আসায় পরদিন তিনি থানাতে একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন, ওইদিন স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে দুপুর একটার দিকে শহরের মুসলিম বেকারীর সামনে থেকে তার কন্যাকে অপহরন করা হয়েছে। সন্ত্রাসী তপু, মেহেদী ও রনজিত কুমার সহ একদল অপহরনকারী তার কন্যাকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বরনাপন্ন হয়ে ঘটনাটি খুলে বলেন। কিন্তু তারাও মেয়েটিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়াতে অবশেষে ছাত্রীর পিতা খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানাতে একটি অপহরন মামলা করেন।
এদিকে, গত ৮ দিনেও অপহৃত ওই ছাত্রী উদ্ধার না হওয়াতে তাকে খুন, গুম বা পাচার করা হতে পারে আশংকায় তার পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এস আই মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের পরদিন ছাত্রীর অভিভাবক থানাতে একটি জিডি করেছিলেন। পরবর্তীতে অপহরনের বিষয়টি জানতে পেরে তারা অভিযুক্ত ৭জনের নামে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শেষে ওই ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড করেছেন। তিনি জানান, অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন