ভারতে নিহত ঝিনাইদহ ৪ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলাম আনারের নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছিলো ঔষধ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদকে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ সাবেক এমপি আনার এ হত্যাকান্ডের নির্দেশ দেন বলে মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে।
মামলায় উপজেলার রাড়ীপাড়া বর্তমান বলিদাপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ আলী, তার ছেলে সুমন এবং গুটিয়ানী গ্রামের আনোয়ার লস্কারের ছেলে মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত আব্দুল মজিদের ভাই আব্দুল আলিম।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সাথে জমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। ঔষধ ব্যবসায়ী নিহত আব্দুল মাজিদ আসামি সাজ্জাদ আলীর কাছে পাওনা সম্পত্তি দাবি করলে নানা রকম ভয় ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ নিজ বাসায় ঢুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। মামলা করতে থানায় গেলে ভিতরে থাকা অবস্থায় সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তাদেরকে বের করে দেয় এবং জামার কলার ধরে গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তৎকালীন এমপি আনার বাদীকে বলেন ‘কালীগঞ্জে থাকতে হলে এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে চুপ থাকতে হবে, কোনো মামালা করা যাবে না’।
হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৮ বছর পর নিহতের ছোট ভাই আব্দুল আলীম গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে রাড়ীপাড়া বর্তমান বলিদাপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ আলী, তার ছেলে সুমন এবং গুটিয়ানী গ্রামের আনোয়ার লস্কারের ছেলে মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল আলিম জানান, সে সময়ে কালিগঞ্জের এমপি আনারের নির্দেশে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। তার ভয়ে আমরা এতদিন মামলা পর্যন্ত করতে পারিনি।
তিনি ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়ে বলেন, আমার ভাইকে কালিগঞ্জ শহরের তার নিজ বাসায় পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে