সাতক্ষীরায় সিসি ক্যামেরার ফুঁটেজ দেখে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে কালিগঞ্জ থেকে ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটক চোরচক্রের সদস্যদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শ্যামনগর থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল।
মোটরসাইকেলের মালিক শ্যামনগর পৌরসভার বাদঘাটা এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) জানান, ২১ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা পশু হাসপাতালের সন্নিকটে মডার্ণ ক্লিনিকের গলি থেকে তার ব্যবহৃত ডায়াং ৮০ সিসি মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। এঘটনায় শ্যামনগর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সিসি ক্যামেরার ফুঁটেজসহ চুরির ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ওই ফুঁটেজ দেখে শনিবার সকালে কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ ফাহিম প্রথমে কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে শাহেদ গাজীকে (১৬) জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সে চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করলে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর সহযোগী মহৎপুর গ্রামের শেখ রফিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৭) ও মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে পাউখালী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র শাহেদ হাসানকে (১৬) আটক করা হয়। তবে পালিয়ে গেছে অপর সহযোগী দেয়া গ্রামের দুখে মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (১২)।
আটক শরিফুল ইসলাম জানায়, মোটরসাইকেল চুরি করে তিনি কালিগঞ্জ হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত হামিদ আর্টের মালিক আব্দুল হামিদের কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। উক্ত মোটরসাইকেল ক্রয়ের পরপরই আব্দুল হামিদ নলতায় জনৈক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
পরবর্তীতে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে কালিগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার সানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্যামনগর থানায় অভিযোগ থাকায় আটক তিনজনকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।