অতিরিক্ত মুনাফার লাভের আশায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অপরিপক্ক আম পেড়ে কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাতের তৎপরতা শুরু করেছে একটি অসাধু চক্র। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিকে পাকানো হচ্ছে এসব আম।
এদিকে জনস্বার্থে অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। বিষাক্ত ক্যামিকেলে পাকানো প্রায় ৯ হাজার কোজি আম ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় তা জব্দ করে জনসম্মুখে ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল কালীবাড়ি এলাকা থেকে এই বিপুল পরিমাণ আম জব্দের পর গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে তা ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আজাহার আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল কালীবাড়ি বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রায় ৯ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম জব্দ করা হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরুর পূর্বে মালিকপক্ষ পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। আমগুলো অপুষ্ট ও ক্যামিকেলে পাকানো বলে নিশ্চিত হয়ে সেগুলো জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০০ কেজি অপরিপক্ক আম ধ্বংস করা হয়। ২৯ এপ্রিল সদর উপজেলার বাকাল চেকপোস্ট এলাকা থেকে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ৬ হাজার কেজি অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম জব্দ করার পর তার বিনষ্ট করা হয়।
এদিকে গত ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সাতক্ষীরার উপপরিচালক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এ বছর আমের মুকুল দেরীতে এসেছে। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও গোবিন্দভোগ/হিমসাগর/ল্যাংড়া আম পরিপক্ক অবস্থায় উপনীত হয়নি। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে সভা করে আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করবে। সে মোতাবেক গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে হবে।
একই সাথে অসদুপায় অবলম্বনে পাকানো অপরিপক্ক আম খাদ্য হিসেবে গ্রহণে ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অসাধুপায় অবলম্বনে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম