সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে চাঁদার দাবিতে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়ি জবরদখল ও তালা দিয়ে গৃহবন্দী করার হুমকি প্রদান করে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) কালিগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন ভুক্তভোগী সেনা সদস্য।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে ফজলুল করিম। তিনি লিখিত এজাহারে জানান, গত ৬জুলাই তিনি পূর্ব নারায়ণপুর মৌজায় এসএ রেকর্ডিয় মালিকদের নিকট থেকে ৩৭৫১ নং রেজিস্ট্রি কোবালামূলে ১৩ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমিতে অবস্থিত বাড়িসহ ক্রয়ের পর তিনি নতুন ঘর নির্মাণ ও প্রাচীর তৈরী করে ভোগদখল করতে থাকেন।
তার ক্রয়কৃত জমি ও ঘরবাড়ি জবরদখলের হুমকি দিয়ে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হবি (৫৫) ও পার্শ্ববর্তী মোমরেজপুর গ্রামের মৃত পুটে গাজীর ছেলে হাশেম আলী (৫৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় হাবিবুর রহমান হবির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্য মহড়া দিয়ে সেনাসদস্যের বাড়ির দরজা তালাবদ্ধ করে দেয় ।
পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কয়েকদিন পর হবি ও হাশেম গংকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা প্রদান করার পর তারা তালা খুলে দেয়। পরবর্তীতে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে বর্তমানে দুইটি পরিবার সেখানে বসরাস করছেন। একপর্যায়ে ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টার দিকে হাবিবুর রহমান হবি ও হাশেম আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী আবার ওই বাড়িতে যেয়ে আরও ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় তারা সেনাসদস্যকে গালিগালাজ করে ও মারপিট করতে উদ্যত হয়। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী চক্রটি দাবিকৃত আরও ১ লাখ টাকা না দিলে ওই সেনাসদস্যের স্ত্রী, এমবিবিএস পড়ুয়া কন্যাসহ পরিবারের সকলকে গৃহবন্দী করে রাখার হুমকি প্রদানের পাশাপাশি এলাকাছাড়া করবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমনকি মালামালসহ ঘরের ভিতর ভাড়াটিয়াদের তালাবদ্ধ করবে বলে হুমকি দেয় তারা।
এঘটনার পর মঙ্গলবার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ফজলুল করিম দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সন্ত্রাসী ওই চক্রটি ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নাঈম এর নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর বরুণ কুমার ঘোষসহ এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হালিমুর রহমান। তিনি বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড