কালবৈশাখী ঝড়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাছচাপায় মা ও দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। শাল্লায় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা ও ছেলে। এছাড়া হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
জগন্নাথপুরের পাটলি ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার(১৪ এপ্রিল) ভোরে গাছচাপার ঘটনাটি ঘটেছে।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর, শাল্লা ও বানিয়াচং থানার ওসিরা।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শুশঙ্কর পাল জানান, ভোররাতে ঝড় শুরু হলে সোলেমানপুরে গাছ ভেঙে একটি টিনের চালার বাড়ির উপর পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়েন ঘুমিয়ে থাকা মৌসুমা বেগম এবং তার ৪ বছরের মেয়ে মাহিমা আক্তার ও ১ বছরের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নাসিরপুর গ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। সে সময় বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন কৃষক মুকুল খা, তার দুই ছেলে ও তার শ্যালকের ছেলে। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মুকুল ও তার ৭ বছরের ছেলে মাসুদ খা।
ওসি আরও জানান, মুকুলের আরেক ছেলে ১১ বছরের রিমন খা ও তার শ্যালকপুত্র ৭ বছরের তানভীরকে হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। বানিয়াচং উপজেলায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৬), একই উপজেলার কাতারী মহল্লার আক্কল আলীর ছেলে শিক্ষার্থী হুসাইন মিয়া (১২) ও জাতুকর্নপাড়া মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে জুমা বেগম (১৩)।
খুলনা গেজেট/ এস আই