সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। দর্শকদের গ্যালারিতে রেখেই শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। কিন্তু, বর্তমান কোভিড-১৯-এর পরিস্থিতি দর্শকদের আশা ভেস্তে দিয়েছে। এতে করোনার প্রভাবে আয়োজনেও কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবুও সব শঙ্কা দূরে ঠেলে অবশেষে আগামীকাল শুক্রবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে টুর্নামেন্টটির অষ্টম আসর।
করোনাকালের সব টুর্নামেন্টের মতো এটিও হচ্ছে জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ওই ম্যাচে মুখোমুখি হবে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ও খুলনা টাইগার্স। ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে জিটিভি ও টি স্পোর্টস।
এবারের বিপিএলে অংশ নিচ্ছে মোট ছয়টি দল—মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, সিলেট সানরাইজার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দের খরচসহ ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পড়েছে মোট পাঁচ কোটি টাকা। দল পরিচলনায় সম্ভাব্য ব্যয় সব মিলিয়ে ছয় থেকে সাত কোটি টাকা। অথচ অবাক করার বিষয় হলো—এত কোটি টাকার দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে মিলবে মাত্র এক কোটি টাকার প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন যারাই হোক পাবে এক কোটি টাকা, রানার্সআপ হলে মিলবে ৫০ লাখ টাকা।
এবারের টুর্নামেন্টের মূল পৃষ্ঠপোষক বিবিএস কেব্লস। পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট—এ তিন ভেন্যুতে হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। মোট ২৭ দিনে অনুষ্ঠিত হবে ৩৪ ম্যাচ। শুক্রবার ছাড়া বাকি দিনগুলোতে প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়, দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু বিকেল সাড়ে ৫টায়।
আগামীকাল বিপিএলের পর্দা উঠবে মিরপুর শেরেবাংলায়। যা চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি খেলা হবে চট্টগ্রামে। পরে ঢাকায় ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি খেলা হওয়ার পর ৭-৯ ফেব্রুয়ারি হবে সিলেটে। সেখানে বিপিএল চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এরপর ঢাকায় ১৪ ফেব্রুয়ারি প্লে-অফের প্রথম দিন হবে এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার হবে ফাইনাল। প্লে-অফ ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। এলিমিনেটর থেকে ফাইনাল পর্যন্ত ম্যাচগুলোয় রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।
করোনাভাইরাসের কারণে মাঝের দুই মৌসুম হয়নি বিপিএল। এ টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসর হয়েছে ২০১৯–২০ মৌসুমে। বিপিএলকে সামনে রেখে গত ২৭ ডিসেম্বর প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে দল সাজিয়েছে সবাই।
এর আগে সরাসরি চুক্তিতে ছয় দল দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নেয়। শক্তি ও অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে আছে মাহমুদউল্লাহর ঢাকা, মুস্তাফিজের কুমিল্লা এবং সাকিবের বরিশাল। তারুণ্যনির্ভর দল গড়েছে চট্টগ্রাম। আনকোরা হলেও জাতীয় দলে খেলা একাধিক তরুণ আছেন দলটিতে। তারকা কিছুটা কম হলেও পিছিয়ে রাখা যাবে না মুশফিকের খুলনা কিংবা সৈকতের খুলনা টাইগার্সকে। সবমিলিয়ে ছয় দলের লড়াইটা এবার কতটা রোমাঞ্চ ছড়ায় সেটাই দেখার অপেক্ষা!