খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

কার্ড হাতে চরকির মতো ঘুরেও টিসিবির পণ্য পাননি মঞ্জুয়ারা বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঞ্জুয়ারা বেগম। মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে টিসিবির ট্রাক লাইনের জন্য সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন তিনি। দু’ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর দুপুর ১২ টার দিকে সেখানে টিসিবির ট্রাক আসে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রাকের কাছে পৌঁছামাত্র কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে তার নাম নেই। অন্য ট্রাকের কাছে গিয়ে তাকে পণ্য কিনতে হবে।

ভিক্টোরিয়া স্পোটিং ক্লাবের সামনে থেকে প্রথমে তিনি শহীদ আবু নাসের হাসপাতালের ট্রাকসেলের সামনে যান। সেখানে কার্ড দেখানো হলে তাকে বাস্তুহারা কলোনীতে পাঠানো হয়। ওইস্থান থেকে তাকে আবার ভিক্টোরিয়া স্পোটিং ক্লাবের সামনে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। এভাবে সকাল গড়িয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সুলভমূল্যে পণ্য কিনতে পারেনি তিনি। গরমে ক্লান্ত হয়ে মুজগুন্নী ভিক্টোরিয়া ক্লাবের পাশে নির্মাণাধীন একটি দোকানে বসেছিলেন। অবশেষে দুপুর তিনটার দিকে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।

সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে এসে তার মতো অনেকেই হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে গেছেন। পণ্য বিক্রির সময় কোন ধরণের শৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়নি।

মঞ্জুয়ারা বেগমের বাড়ি নগরীর মুজগুন্নী এলাকার ল্যাংটা ফকিরের মাজারের পাশে। তিনি সিটি কর্পোরেশন ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনদিন আগে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মাধ্যমে কার্ড সংগ্রহ করেছেন। কার্ড সংগ্রহের জন্য বিভিন্নস্থানে দৌড়াদৌড়ি করেছেন। প্রথমে কেউ কার্ড দিতে চায়নি। পরে কাউন্সিলর তার অভাব অভিযোগের কথা শুনে একটি কার্ড দেন।

একইস্থানে কথা হয় মারুফা বেগমের সাথে। মুজগুন্নী এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, করোনার সময়ও সরকারের কোন সহযোগিতা পাননি। অনেক কষ্ট করে একটি কার্ড যোগাড় করেছিলেন, কিন্তু সেখান থেকে পণ্য কিনতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। স্থানীয় নেতাদের ভীড়ে তাদের মতো অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ সঠিকভাবে পণ্য নিতে পারবে না বলে তার দাবি।

এ বিষয়ে জানতে ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমডি মাহফুজুর রহমান লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, যার যার এলাকায় তার তার মাল নেওয়ার কথা। ডিলারদের ভুলের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এ ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!