আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ঢুকতে শুরু করেছে তালিবান। কাবুলে প্রবেশ করে অবশ্য যোদ্ধাদের হিংসা এড়ানোর নির্দেশ দিল তালিবান। জোর করে নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে কাবুলের দখল নেওয়ার বার্তা দিয়েছে তালিবান।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালিবান যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছে কাবুলে প্রবেশ করে সংঘর্ষ এড়াতে। যাঁরা কাবুল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান তাঁদের যাতে নিরাপদে শহর ছাড়তে দেওয়া হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মহিলাদের অনুরোধ করা হয়েছে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য। যদিও ইতিমধ্যেই কাবুলের কিছু জায়গায় গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা সূত্রে খবর, একটি বিবৃতিতে তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কারও প্রাণ ও সম্মানহানি ছাড়া যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও একটি বিবৃতিতে তালিবান জানিয়েছে, কারও সম্পত্তি দখল করা হবে না। কোনও প্রতিষ্ঠান ভাঙা হবে না বলেও জানিয়েছে তারা। এই বিবৃতির পরেও কাবুলের সব অফিস খালি করতে শুরু করেছেন কর্মচারীরা। সবাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন।
এদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি ভিডিও স্থানীয় টোলো টিভিতে প্রচারিত হয়েছে। এতে তিনি বলছেন, একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। তিনি আরো বলেন, কাবুলের ওপর কোন আক্রমণ হবে না।
বার্তা সংস্থা এপি – একজন আফগান কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে তালেবান আলোচকরা এখন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে যাচ্ছেন, এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
বাগরাম বিমান ঘাঁটি তালেবানের দখলে
তালেবান বলছে, তারা কাবুলের নিকটবর্তী বাগরাম বিমানঘাঁটি ও কারাগার দখল করেছে। গত প্রায় ২০ বছর ধরে এটি মার্কিন বাহিনীর তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ-প্রয়াসের মূল কেন্দ্র ছিল। গত মাসে মার্কিন বাহিনী এটি ছেড়ে যায়। রাজধানী কাবুলের অনেক লোক গাড়িতে করে শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন, এবং এ জন্য শহরের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রয়টার বার্তা সংস্থা এর আগে জানায়, কেউ কেউ তাদের গাড়ি রাস্তায় ফেলে রেখে পায়ে হেঁটে বিমানবন্দরে যাচ্ছে। শহরের বহু দোকান, সরকারি অফিস ও বাজার বন্ধ । কোথাও কোথাও সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের ডিউটি পোস্ট ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কাবুলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত গুলির শব্দ পাওয়া গেছে তবে তা কোথা থেকে আসছে তা জানা যায়নি।
খুলনা গেজেট/ টি আই