জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শনিবার(২৫মে) বিকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালির কবি, মানুষের হৃদয়ের কবি। তিনি বিভিন্ন ঘাত ও প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্থানের অপশাসনের বিরুদ্ধে ২৩ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। এই অন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণা উৎস ছিলো কাজী নজরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু কবিকে অনুকরণ করতেন। নজরুলের কালজয়ী লেখায় ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।
মেয়র আরও বলেন, জাতির সঠিক ইতিহাস জানা যেমন প্রয়োজন, তেমনি কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের ইতিহাস জানারও প্রয়োজন রয়েছে। কবি নজরুল অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তি সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। নজরুলের জীবনের দিকগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল ফজল। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা নজরুল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মাহমুদ। খুলনা জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে